গবেষণায় এথিক্যাল ব্যাপার স্যাপার
কেইস বা উত্তরদাতা হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের যেসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য করা দরকার
তিনটি দৃশ্য কল্পনা করুন —
১। খবরে প্রকাশ, কে বা কারা জরিপের নাম করে মানুষের বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করছে¹
২। ফেসবুকে আপনার বন্ধু একটি লিংক শেয়ার করেছে যাতে অজানা অচেনা একটি প্রতিষ্ঠান তাদের জরিপে অংশগ্রহণের আহ্বান করেছে
৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী তার বন্ধুর একাডেমিক গবেষণার জন্য পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে
উল্লিখিত তিনটি দৃশ্যেই একটি বিষয় কমন রয়েছে। সেটি হল এরা আপনার কাছ থেকে তথ্য চায়। অর্থাৎ আপনাকে তাদের সম্ভাব্য গবেষণার বিষয়বস্তু বা সাবজেক্ট বানিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে।
প্রশ্ন হল এ ধরনের আহবানে আপনি সাড়া দিবেন কিনা? কিংবা সাড়া দেয়ার আগে কোন কোন বিষয়ে ভালো করে অবগত হওয়া প্রয়োজন?
এই লেখায় এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি।
পড়ার পরে আপনি যা জানতে পারবেন —
- গবেষণায় এথিকস বা নৈতিক মান কী এবং কেন গবেষণার ক্ষেত্রে এথিকস গুরুত্বপূর্ণ
- নিজের তথ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে গবেষণাতে অংশ নেয়ার আগে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়া প্রয়োজন, যেমন—
- মানুষ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা
- মানুষ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও দায়িত্বশীলতা
- সংগৃহীত তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হবে এবং কোথায় প্রকাশিত হবে
- প্রদত্ত তথ্যের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে
মানুষ নিয়ে গবেষণা মানে কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্ণনা² অনুযায়ী মানুষ নিয়ে গবেষণা বলতে বোঝায় —
সামাজবিজ্ঞান, বায়োমেডিক্যাল, মনোজাগতিক, ও এপিডেমিওলজিক্যাল গবেষণা যেখানে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষে পদ্ধতিগতভাবে মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় যেখানে অংশগ্রহণকারীদের
- কোনো না কোনো ভাবে পরিবর্তিত (ম্যানিপুলেট) করা হয়, কোনো ইন্টারভেনশন দেয়া হয়, কিংবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শুধুমাত্র নিরীক্ষা করা হয়
- সংগৃহীত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, বায়োলজিক্যাল স্পেসিমেন, মেডিকেল রেকর্ড, ইত্যাদি ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়
গবেষণায় এথিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড বা নৈতিক মান
ব্যাপারটি বাংলাদেশীদের অনেকের কাছেই অজানা। বিশেষ করে যাদের এ বিষয়টি সম্পর্কে সবচেয়ে অবহিত হওয়া প্রয়োজন — যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো — তাদেরই দেখা যায় এ বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে উদাসীন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হিউম্যান সাবজেক্ট রিসার্চের ক্ষেত্রে এথিক্যাল রিভিউর বাধ্যবাধকতা আছে বলে তেমনটা জানা যায় না। যে কারণে অনেক শিক্ষক/গবেষক এ সম্পর্কে অবগত থাকলেও এর বাস্তবায়ন অনুপস্হিত বলা যায়। এ পরিস্থিতিতে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা এবং সেটিকে গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
গবেষণার এথিকস যারা জীবিত প্রাণী যেমন ইদুঁর, বানর, এসব নিয়ে গবেষণা করে তাদের জন্য যেমন প্রযোজ্য তেমনি প্রযোজ্য মানুষ যখন গবেষণার সাবজেক্ট হিসেবে অংশ নেয় তখনও।
এই লেখাটিতে যেসব গবেষণায় মানুষের অংশগ্রহণ থাকে সেই সব গবেষণার এথিক্যাল দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
গবেষণায় এথিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড বা নৈতিক মান বলতে বোঝায় কতগুলো রীতি যা গবেষকরা অনুসরণ করেন। এই রীতিগুলো অনুসরণীয় যাতে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মান, অধিকার এবং কল্যাণ নিশ্চিত থাকে।
প্রশ্ন হচ্ছে এই নীতি গুলো অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা সেটি কে নিশ্চিত করবে?
আর সেখানেই চলে আসে এথিকস কমিটির অস্তিত্ব। এটি এমন একটি বোর্ড বা কমিটি যার কাজ হলো গবেষণায় নৈতিক মান গুলো অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা রিভিউ করা এবং নিশ্চিত করা।
সাধারণত গবেষকগণ কোন গবেষণা শুরু করার আগে একটি প্রপোজাল তৈরি করেন যেখানে গবেষণার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থাকে যেমন গবেষণার উদ্দেশ্য কী, লক্ষ্য কী, কাদেরকে এই গবেষণায় যুক্ত করা হবে এবং কী কী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হবে, ইত্যাদি। এই প্রপোজাল টি জমা দেয়া হয় এথিক্যাল রিভিউ কমিটির কাছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই গবেষণা শুরু করা হয়।
এথিক্যাল রিভিউ কমিটি
এথিক্যাল রিভিউ কমিটি হচ্ছে সেই কমিটি যারা কোনো গবেষণার প্রপোজাল বা প্রটোকল রিভিউ করে। রিভিউ করার সময় তারা দেখে গবেষণা করার নৈতিক মান গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কিনা সেগুলো।
প্রটোকল গবেষণার এথিকস অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে এই কমিটি গবেষণার অনুমোদন দেয়। কমিটি অনেক সময় অনুমোদন দেয়ার আগে ক্লারিফিকেশন এর জন্য গবেষকদের ইন্টারভিউ করে থাকে।
এই কমিটি গঠিত হয় কমপক্ষে পাঁচ জন সদস্য নিয়ে। যেসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত গবেষণা করা হয়, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান — সেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব এথিকস রিভিউ কমিটি থাকে।
সুনির্দিষ্টভাবে যে স্ট্যান্ডার্ড গুলো রিভিউ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে —
- ইনফর্মড কনসেন্ট বা অবহিত সম্মতি নেয়া হচ্ছে কিনা
- অংশগ্রহণকারীদের কোন রকম বিপদের আশঙ্কা আছে কিনা বা থাকলে তা স্পস্টভাবে বলা হচ্ছে কিনা
- অংশগ্রহণকারীরা নির্ভয়ে প্রভাবমুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ ঐচ্ছিকভাবে অংশগ্রহণ করছে কি না
- অংশগ্রহণকারীদের তথ্যগুলো গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা এবং প্রকাশিতব্য ফলাফল থেকে যাতে করে অংশগ্রহণকারীদের পরবর্তীতে চিহ্নিত করা না যায় সেরকম প্রস্ততি আছে কিনা
- যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হবে সে তথ্যগুলো গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সমন্বিত আছে কিনা। অপ্রয়োজনীয় বা গবেষণার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় সেরকম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা
ইনফর্মড কনসেন্ট বা অবহিত সম্মতি
মানুষ নিয়ে যেসব গবেষণা করা হয় সে ধরনের গবেষণায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো অংশগ্রহণকারীদের গবেষণা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবহিত করে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার অনুমতি গ্রহণ করা। এ ধরনের সম্মতি নেয়াকে বলে অবহিত সম্মতি বা ইনফর্মড কন্সেন্ট।
সম্মতি নেয়ার আগে অংশগ্রহনকারীকে তার অধিকার সম্পর্কে অবগত করা ও গবেষণাটি কী উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে সেটি পরিষ্কার করে বলা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণের কারণে কোনো লাভ, কোন বিপদ বা স্বাস্থ্যহানি বা অন্য কোনভাবে কোনরকম ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কিনা সেটি পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলতে হয়। এরপর স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় যে তিনি এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করবেন কিনা। অর্থাৎ তার অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। এবং তিনি ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় এই গবেষণা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সেই অংশগ্রহণকারীর ডেটা ওই গবেষণায় ব্যবহার করা যাবে নাকি যাবে না সেটি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এ সম্পর্কে আরও জানার জন্য এখানে দেখুন। এটি আমেরিকার জন্য প্রযোজ্য। অন্য দেশের জন্য নিয়ম আলাদা হতে পারে।
কোন ভাবেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন রকম প্রভাব বিস্তার করে কারও কাছ থেকে সম্মতি আদায় করা যায় না। করলে সেটি গবেষণার নৈতিক মান ভঙ্গ করবে।
প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
আমাদের দেশে গবেষণায় এথিকস সম্পর্কে সচেতনতা খুব কম। অনেকেই এ সম্পর্কে অবগত নন। কিংবা অবগত থাকলেও কঠোরভাবে নৈতিক মান অনুসরণ করার ব্যাপারটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। অনেক সময় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো যেমন এথিকস রিভিউ বোর্ড না থাকার কারণে গবেষণা সময়মতো শুরু করা যায় না। অনেকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মুখোমুখি হন। এসব কারণেও দেশে গবেষকরা গবেষণায় নৈতিক মান বাস্তবায়নে পিছিয়ে আছে।
কিন্তু এর কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে যেমন ব্রাক ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আইসিডিডিআর বি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স এবং বায়েমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডশনে এথিকস রিভিউ কমিটি আছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল-এও এরকম কমিটি আছে যেখান থেকে বাংলাদেশে করা ক্লিনিক্যাল স্টাডির এথিক্যাল অনুমোদন নেয়া যায়। এছাড়া কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ শিক্ষকদের উদ্যোগে এরকম কমিটি গড়ে তোলার প্রকৃয়া চলছে।
অংশগ্রহণকারী হিসেবে আপনার দায়িত্ব
এতক্ষণ ধরে যা বলার চেষ্টা করেছি তা মূলত ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করার জন্য। আপনাকে কেইস হিসেবে (রোগী বা সুস্থ মানুষ) স্টাডিতে কেউ জড়িত করতে চাইলে নিচের বিষয়গুলোকে অবশ্যই খতিয়ে দেখবেন —
- গবেষণা যারা করছে সেই প্রতিষ্ঠান লেজিটিমেইট কিনা এবং বৈজ্ঞানিক সমাজে তাদের পরিচিতি আছে কিনা (গবেষকদের প্রোফাইল, পাবলিকেশনস, প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট, যোগাযোগের ঠিকানা, ইত্যাদি।)
- যে বিষয়ে গবেষণা করা হচ্ছে সেই বিষয় সম্পর্কে লিখিত আকারে আপনাকে তথ্য দেয়া হয়েছে কিনা
- গবেষণায় অংশ নিলে আপনার কোন রিস্ক আছে কিনা সে সম্পর্কে লিখিতভাবে কিছু বলেছে কিনা
- গবেষণায় অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক কিনা
- গবেষণায় অংশ নেয়ার পরেও যে কোনো সময়ে আপনি ইচ্ছে করলে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারবেন কিনা
- গবেষণা সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে কার সাথে যোগাযোগ করা যাবে তার নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, এবং ইমেইল এড্রেস দেয়া আছে কিনা
- সর্বোপরি গবেষণাটি এথিকস রিভিউ কমিটি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে কিনা সে সম্পর্কিত প্রমাণাদি যেমন অনুমোদনের মেমো নাম্বার আপনাকে লিখিত আকারে দেখানো হচ্ছে কিনা
- বিশেষ করে গবেষণাটি যদি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে হয়ে থাকে তাহলে দেশী এবং বিদেশী দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই এথিকস কমিটির অনুমোদন আছে কিনা
এ সংক্রান্ত তথ্যগুলো ডেটা কালেকশন এর যে ফরম থাকে তার শুরুতেই উল্লেখ করা থাকে যেখানে আপনি স্বাক্ষর করার মাধ্যমে ইনফর্মড কনসেন্ট দিবেন যে আপনি জেনে বুঝে এই গবেষণায় অংশ নিচ্ছেন। তবে স্বাক্ষর ছাড়াও অনলাইনে বা মৌখিকভাবেও কনসেন্ট দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে ফরমে একটি ঘর থাকবে যেখানে অনলাইনে বা মৌখিক ভাবে সম্মতি নেয়া সম্পর্কিত চিহ্ন দিতে হবে।
কোন অবস্থাতেই উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার কাছে লিখিত আকারে উপস্থাপন না করলে সেই গবেষণায় অংশগ্রহণ করবেন না।
এথিক্যাল অনুমোদনহীন গবেষণার ফল
এথিক্যাল অনুমোদনহীন গবেষণায় বড় ঝুঁকিটি হল আপনার তথ্য নিয়ে তারা প্রকৃতপক্ষে কী করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই এবং তথ্যের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সম্পর্কে গবেষকদের কোন দায় দায়িত্বও থাকে না। আপনার তথ্যগুলো উল্লেখিত গবেষণাতেই ব্যবহৃত হবে তারও কোন নিশ্চয়তা থাকে না।
এই ব্যাপারটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি আপনার স্বাস্থ্য, মতামত, আপনার লাইফ স্টাইল কিংবা এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্যের নিরাপত্তার সাথে জড়িত।
দ্বিতীয়ত, মানুষ নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল যখন জার্নালে প্রকাশিত হয় তখন গবেষণার এথিক্যাল অনুমোদন নেয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি স্টেটমেন্ট লিখতে হয় যা আর্টিকেলের সাথে প্রকাশিত হয়।
এথিক্যাল রিভিউ কমিটির অনুমোদনহীন গবেষণা প্রতিষ্ঠিত জার্নালে রিভিউয়ের জন্যও গৃহীত হবে না, পাবলিকেশন তো দূরের কথা। আর গবেষণা হয়ে যাওয়ার পরে কমিটি সেটি রিভিউ করতে পারে না। তাই অনুমোদন পাওয়ারও সুযোগ থাকে না।
অর্থাৎ এতো কষ্ট করে যে গবেষণাটি করা হলো সেটি কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।
গবেষণার এথিকস সম্পর্কে অবগত এবং তা অনুসরণ করে গবেষণা পরিচালিত করাই প্রকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষকদের বৈশিষ্ট্য।
এথিক্যাল রিভিউ কখন দরকার হয়না?
সাধারণত যে ধরনের কাজ কোন গবেষণার উদ্দেশ্যে পরিচালিত নয় সে সব ক্ষেত্রে এথিক্যাল রিভিউ প্রয়োজন হয় না।
গবেষণা নয় এমন কাজের মধ্যে পড়ে কোন প্রতিষ্ঠানের সেবার মান উন্নত করণ, কিংবা প্রসেস মনিটরিং ও ইভালুয়েশন সংক্রান্ত কাজে তথ্য সংগ্রহ — যা কোন মাধ্যমেই প্রকাশ করার কোন উদ্দেশ্য থাকে না এবং যা কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়।
এটি নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে। আপাতত আগ্রহীরা এই সাইট ঘুরে দেখতে পারেন http://www.bu.edu/researchsupport/compliance/human-subjects/determining-if-irb-approval-is-needed/
কৃতজ্ঞতা
লেখাটি সম্পর্কে ফীডব্যাক ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়ার জন্য গৌতম রায় এবং ড. ইশতিয়াক আহমেদ-কে অনেক ধন্যবাদ।